মোটরসাইকেল নিয়ে একটি ধারাবাহিক লেখার ইচ্ছা অনেক স্বনামধন্য বন্ধু পথিকবরেদের লেখা পড়ে জন্ম নেয়, যদিওবা আমার লেখা সাহিত্যগুণগত ভাবে ওনাঁদের কানাকড়িও নয়; না আছে ভাব, না আছে ভাষা, কিন্তু কিছু বক্তব্য আছে। এমন নয় যে সেটা পড়ে নিয়ে কাউকে কিছু করতে হবে, জ্ঞান কেউই পছন্দ করে না, স্বাভাবিক্ ভাবেই।প্রায় ছয় মাস এ ২০ তীর সিরিজ লেখা হয়ে গেছে, যদি কারোর একসাথে সিরিজ টা পড়ার ইচ্ছে হয়, সেইজন্য লেখাগুলো সব একসাথে রেখে নোট হিসাবে পাবলিশ করে দিলাম; পুরোনো লেখা নিচে, আর নতুন লেখা ওপরে, এইরকম ভাবে সাজানো আছে; পড়ে কেমন লাগলো, জানালে নিশ্চই ভালো লাগবে :-
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (২০) #স্বপ্নের_বাইকার_ছোটগল্প (#A_Fantasy_Biker_short_story) (এই গল্পটা লিখতে আমার দুই বছর লেগেছে, সব চরিত্র কাল্পনিক )
পেশাগত কারণে আমি ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে বেশ দেরীতে এসেছি, বছর তিনেক হবে হয়ত। সাধারণত, আমার পোস্টে মোটরসাইকেল সংক্রান্ত আলোচনাই বেশি, সেই সূত্র ধরেই, ধীরে ধীরে ফেসবুকে মোটরসাইকেলপ্রেমী ভাই বোনেদের বন্ধুসংখ্যা বাড়তে থাকে। এইরকম সময়ই, প্রায় তিন বছর আগে, ফেসবুকের মাধ্যমেই আলাপ হয় আমার এক বাইকার ভাইয়ের সাথে। অনেক ফেসবুকিয় বন্ধুর মতনই, মোটরসাইকেল সম্বন্ধে আলোচনা, তার বিভিন্ন রাইডের ফটো, রাইডিঙ টেক্নিক্ নিয়ে মতামত, মডিফিকেশন্ সম্বন্ধ্যে কৌতুহল, সুন্দর কবিতা ও অভিব্যক্তি, সদ্য প্রেমে পড়ার চেতনা, প্রচুর বাইকিং গ্রুপে সদা হাজিরি এবং বাইকিং জগতের দাদাদের সাথে ফেসবুকিয় বন্ধুত্ব এবং তাদের সম্বন্ধ্যে বক্তব্য, তার রাইডিঙ এর ফটো অন্যরা চুরি করে নিচ্ছে বলে গালাগাল… এইসব দেখে একটা ধারণা নিজের মনেই তৈরি করেছিলাম – “বাহ, বেশ সুন্দর ঝকঝকে বাইকার যুবক তো, ভালো বেশ ছেলেটি “
এর কয়েকদিন পরেই, আমি চাকরিতে বদলি হয়ে চলে আসি পশ্চিমবঙ্গ, আর আসার কয়েকদিন পরে, হঠাতই খেয়াল পড়ে, “আরে… সেই সুন্দর ঝকঝকে বাইকার dude এর বাড়ি তো আমার বাড়ির খুবই কাছাকাছি, একদিন গেলে কেমন হয়??”
মেসেজ করে দিলাম যে যাচ্ছি আমি, তার সাথে আলাপ করতে একদিন শীতের সকালে। প্রথমে একটু দ্বিধা, তারপর সে রাজি হয়ে গেল… “হ্যা হ্যা, এসো এসো” ..। শীতের রবিবারের সকালে, শ্বেত-অগ্নি কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম, সত্তর কিমি দূরে সেই গ্রামের উদ্দ্যশ্যে।
পৌঁছে, দেখি, অনতিদূরে এক ২০-২২ বছরের কিশোরত্তির্ন সদ্দ যুবক দাঁড়িয়ে, ক্ষীণকায়, চল্লিশ কেজি ওজন, লজ্জায় মুখ লুকায় আরকি, হাসি হাসি মায়াময় মুখ। একটু আশ্চর্যই হই, ঠিক বাইকার-বাইকার নয় তো ছেলেটি, কোন ভুল জায়গায় চলে এলাম না তো? নিজেই এসে আলাপ করলো সে, বুঝলাম ঠিকই এসেছি… জিজ্ঞাসা করলাম, “বাইক আনিস নি? “… সে উত্তর দিলো… “বাইক ত আমার নেই দাদা, কিনবো ভাবছি একটা, কি কিনবো বল তো?? এনফিল্ড না কেটিএম?? “
নিয়ে গেল সে আমাকে তার বাড়ি, গ্রামের মধ্যে সুন্দর, মধ্যবিত্ত বাড়ি, আলাপ হল তার বাবা-মায়ের সাথে, খুবই সুন্দর মানুষ তাঁরা.. আমারই বয়সী হবেন, চা জলখাবারের সাথে কি আন্তরিক আপ্প্যায়ন তাঁদের, মুগ্ধ হলাম। ছেলেটির বাবা এবং মা, দুজনেই আমাকে হাত ধরে কিছু কথা ও অনুরোধ করেছিলেন, সেটা আমি পুরোপুরি ওনাদের জবানে লিখে দিচ্ছি …
“দাদা, আমার ছেলেটাকে আপনি কিছু বলুন … ছেলেটা পাগল হয়ে যাচ্ছে মনে হয়, দিনে দিনে। দিনে চব্বিশ ঘণ্টা মোবাইলফোনের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে পড়ে আছে, ফেসবুক দেখে হাঁসছে, কাঁদছে, গালাগাল করছে, পায়খানায় মোবাইল নিয়ে যাছে। পড়াশোনা বিশেষ কিছুই করলো না, বাবা রিটায়ার হয়ে গেছেন, বাড়ি কোনরকমে চলছে, কোন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা নেই। ওর মাথায় ঢুকেছে বাইক, আর ও নাকি বাইকার… কোনো মোটরবাইক-সাইক কিচ্ছু নেই, সাতজীবনে কোথাও যায় নি, মাঝে সাঝে এদিক ওদিক গিয়ে কারো না কারোর বাইকে চড়ে ফটো তুলে আনে। না আমার ওকে বাইক কিনে দেবার ক্ষমতা আছে, না ও নিজে কিনতে পারবে। একটি মেয়ের সাথে প্রেম করছে, বলছে বিয়েও করবে, কোন ইনকাম কিচ্ছু নেই, এ কি বাইকার আর বাইকিং এর পাগলামি চলছে? সেইজন্য বলেছিলাম দাদা এলে বাড়ি নিয়ে আসবি, দাদা, ওকে একটু বোঝান… “
স্তব্ধ হয়ে গেছিলাম… কি আর বলবো? বাবা মায়ের কষ্ট তো বুঝি। বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলাম সেই সদ্য যুবক কে… “কি ভাল ছেলে তুই, কতো ভাল বাবা-মা, কতো ভাল প্রেমিকা… এরকম ভাবে কেন নিজের জীবন নষ্ট করছিস ভাই?? এ কি বাইকিং পাগলামি?? নিজের জীবনে না দাঁড়াতে পারলে কোথায় বাইকিং, কথায় বাইক?? .. ভুল করিস না ভাই আমার… বাবা, মা, ভাই, বোন, ভাবী-বউ সকল কে দেখতে হবে তোকে… সময় আছে, হবে বাইকিং সাইকিং একদিন, আগে ত জীবনের হাল ধর… “
জানিনা, সেই কথোপকথনের কোন লাভ হয়েছিল কি না, সেই ভাইকে খুবই মনে পড়ে… কত ছোট , মিষ্টি একটা ছেলে… এক মিথ্যা, স্বপ্নের জগতে বাস করে, এক মিথ্যা persona সে তৈরী করে নিয়েছে নিজেকে ঘিরে, আজকে সে ওই মিথ্যা জগতেই বন্দি। আশা করি সেই মিথ্যার জাল ছিঁড়ে সে কোনদিন সত্যি জিবনে ফিরবে। মনটা খুবই খারাপ… বাইকিং এর নামে এইরকম কতো না জানি স্বপ্নের প্রাসাদ, স্বপ্নের দত্যি-দানো, স্বপ্নের রাজকুমারী তৈরি হয়ে চলেছে…. সত্যি জানিনা, এর জন্য দায়ী কে?? বাইক, না তার সাথের এক তথাকথিত গ্ল্যামার, না কি এই ইন্টারনেটের এক মনগড়া স্বপ্নের দুনিয়া… এটাই প্রার্থনা, সকলের সুবুদ্ধি হোক।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৯) (English) #Are_all_Motorcycle_same ?? #Is_cc_just_a_number ?? #Can_I_do_Spiti_with_100cc ?? I had the privilege of going around the country and meeting and interacting with lots of Motorcycle enthusiasts, especially many young vibrant people. During many of these interactions, I get to hear a lot of interesting (and positive) statements, a few examples are :- (a) All bikes are same. (b) cc is just a number. (c) All bikes can do everything … etc.
Let us talk about this a bit more, and a bit analytically. I appreciate that such talks arise with the basic concept of #Respect. Rather, respect a biker, irrespective of his ride. Respect him for his “never die attitude” and “will do spirit”. In that bargain, we sometimes tend to make some loose statements like the ones I mentioned above. Maybe the real statement would be something like … “All bikes are different, and irrespective of the diffences in motorcycle, I respect a Biker”.
Now, let’s talk a few technical things made suitable for understanding of common people without going into actual definition and formulae etc. There are four basic factors and their correlation, which makes all motorcycles different. They are .. #cc, #bhp, #torque and #form_factor.
CC is the total displacement of the pistons in the engine. In even simpler terms, a 150 cc bike displaces 150 cc of air in one stroke, assuming it is a one cylinder bike. Bikes with more cylinders and pistons cumulatively displace the overall “cc” of the bike, ex. an 1000cc bike displaces 250cc per cylinder and has four cylinders, making the overall displacement 1000 cc.
BHP (brake horse power) is the total power available on the tyre. Without going into too much technicalities, it’s roughly, the measure of the amount of energy that is required to fully stop your bike when it is in motion, hence more or less, it’s the amount of energy spent to make the bike keep on moving. Bhp is somewhat proportional to the cubic capacity of the engine. In a given vehicle without changing anything (even total weight) if you increase the CC, then the BHP also increases.
Torque is very roughly, a measure of the turning energy of the motorcycle.
Power and Torque represent two sides of the same coin, and more displacement increases either of the two, or both, depending on the bike, the number of cylinders, and the gears.
Form factor can be described as those factors that define the appearance, function and engineering of Motorcycles. This may include rake angle, weight, turning radius, ergonomics, seating, posture, suspension, ground clearance, wheel size, gripping etc.
Now, the main issue is … How do all these basic four factors make a difference to a Motorcycle or a Motorcycle Rider ??
Higher BHP allows you to go faster, and reach higher speeds
Higher Torque allows you to accelerate faster and not get affected by your weight as it carries your load (assuming the gears are the same for both).
Both power and torque depend on how big an internal combustion is occurring in your engine, and therefore a bike that has more ccs will usually have more power and/or torque, and will also burn more fuel (generally, assuming the technology is the same).
A form factor will decide whether the bike can comfortably do a mountain trail or do motocross, or glide across desert sand dunes, or burn the race track, or go for shopping or do street dragging.
An ideal combination of Displacement, Bhp, Torque and Form factor makes a bike suitable for doing a specific job, that is intended by the manufacturer or desired by the user.
Now, if a youngster asks … “Can I do Spiti in 100 cc bike ?? ” … The answer is very typical !!! See, the 100 cc bike was not designed in all the four factors … Displacement, BHP, Torque or Form-factor to do Spiti. It was meant to take you to your college and do some local shopping. But that doesn’t mean that you can’t or shouldn’t try something else. You must try … That will display your grit, determination, riding skills and character. It won’t be easy, but it will surely be worth it. And for Heaven’s sake, never say … “This-Dada has done with Platina and that That-Ji has done with scooter” … You are not This-Da and That-Ji. Their doing as a past precedence shows that it can be done, but no way shows that ‘Anybody’ or ‘You’ can do it easily … They have proven their grit, determination, skill and character. It’s good to be inspired, but it’s you who have to prove yourself, that you Have it in you to do Spiti with 100 cc. God bless, Ride Hard, Stay Safe.
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৮) #English_this_time (#Law_of_the_Jungle) As I sit and watch the movie #The_Jungle_Book, I am reminded of the chanting by the wolves. Akeela calls that a law, Baghera calls the Ways and Baloo calls it a Propaganda. But I can’t help wondering how many newly formed #Motorcycle_Clubs will survive and save themselves from early extinction if they simply knew and and followed the basic #Laws_of_the_Jungle (understood the correct way)
Now this is the Law of the Jungle — as old and as true as the sky; And the Wolf that shall keep it may prosper, but the Wolf that shall break it must die.
As the creeper that girdles the tree-trunk the Law runneth forward and back For the strength of the Pack is the Wolf, and the strength of the Wolf is the Pack.
Wash daily from nose-tip to tail-tip; drink deeply, but never too deep; And remember the night is for hunting, and forget not the day is for sleep.
The Jackal may follow the Tiger, but, Cub, when thy whiskers are grown, Remember the Wolf is a Hunter — go forth and get food of thine own.
Keep peace withe Lords of the Jungle — the Tiger, the Panther, and Bear. And trouble not Hathi the Silent, and mock not the Boar in his lair.
When Pack meets with Pack in the Jungle, and neither will go from the trail, Lie down till the leaders have spoken — it may be fair words shall prevail.
When ye fight with a Wolf of the Pack, ye must fight him alone and afar, Lest others take part in the quarrel, and the Pack be diminished by war.
The Lair of the Wolf is his refuge, and where he has made him his home, Not even the Head Wolf may enter, not even the Council may come.
The Lair of the Wolf is his refuge, but where he has digged it too plain, The Council shall send him a message, and so he shall change it again.
If ye kill before midnight, be silent, and wake not the woods with your bay, Lest ye frighten the deer from the crop, and your brothers go empty away.
Ye may kill for yourselves, and your mates, and your cubs as they need, and ye can; But kill not for pleasure of killing, and seven times never kill Man!
If ye plunder his Kill from a weaker, devour not all in thy pride; Pack-Right is the right of the meanest; so leave him the head and the hide.
The Kill of the Pack is the meat of the Pack. Ye must eat where it lies; And no one may carry away of that meat to his lair, or he dies.
The Kill of the Wolf is the meat of the Wolf. He may do what he will; But, till he has given permission, the Pack may not eat of that Kill.
Cub-Right is the right of the Yearling. From all of his Pack he may claim Full-gorge when the killer has eaten; and none may refuse him the same.
Lair-Right is the right of the Mother. From all of her year she may claim One haunch of each kill for her litter, and none may deny her the same.
Cave-Right is the right of the Father — to hunt by himself for his own: He is freed of all calls to the Pack; he is judged by the Council alone.
Because of his age and his cunning, because of his gripe and his paw, In all that the Law leaveth open, the word of your Head Wolf is Law.
Now these are the Laws of the Jungle, and many and mighty are they; But the head and the hoof of the Law and the haunch and the hump is — Obey!
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৭) #সুপারবাইক_প্রেম (#Love_of_Superbike) আমার মাইরি একটা সুপারবাইক কেনার বড্ড শখ, কিন্তু ভয়ে কিনতে পারি না। আজকে ভাবলাম সেই ভয় গুলোর মুখোমুখি নিজেই দাঁড়াই, সেই নিয়েই আজকের বিলাপ। #সুপারবাইক_মালটা_কি ?? ভাই, যে যা ইচ্ছে ডেফিনেশান দাও, আমার মাথায় একটা পাক্কা ধারনা আছে … শালা লিটার ক্লাসের এঞ্জিন হতে হবে, আর কম করে দশ লাখ টাকা দাম হতে হবে!! তবেই সুপারবাইক, নাহলে শালা ঢপবাজি। বুসা, ১৪আর, মোটকা বা বাঘের-বাচ্চা না হলে শালা বা.. লাপোসের সুপারবাইক … #বউ_ক্যালিয়ে_বৃন্দাবন_দেখাবে … ১৪ লাখি একপিস যদি কিনে ফেলি, পাক্কা ডিভোর্স, জ্ঞান থামবে না জীবনে .. “ভবিষ্যৎ বলে কি কিছুই নেই?? বাচ্চাগুলোর পড়াশোনা কি ভিক্ষে করে হবে??” বাঁচাও ভায়া, অতো জ্ঞানের থেকে দুশ্মনের গুলি ভালো। #পয়সা_আছে_কি_নেই ?? ২৪ বছর ক্লাস-ওয়ান গেজেটেড অফিসার ক্যাডারে চাকুরীর পরে কোনরকমে জমেই যায় কিছু পয়সাকড়ি, কিন্তু বড়োই চিন্তায় থাকি… জীবনটা পাহাড় জংগল দুষ্টু লোকেদের মধ্যেই কাটিয়ে, মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে রক্ত জল করে কামানো পয়সা দিয়ে একটা বাইক কিনে ফেলবো? ওই পয়সায় কি শুধু আমারই অধিকার, নাকি রাত জাগা বউ, বাপকে না দেখে বড় হয়ে ওঠা বাচ্চা, তাদেরো কিছু অধিকার আছে? পয়সা হয়তো আছে, কিন্তু তাই দিয়ে বাইক কিনে ফেলার শ্রদ্ধা বা সাহস, কোনোটাই সত্যি কথা বলতে নেই। #লোনের_ভয় .. ব্যাংকগুলো শালা হারামির হাতবাক্স, মাথায় হাত বুলিয়ে দশ লাখ টাকা গছিয়ে দেবে, তারপর শালারা পোঁদে হাত ঢুকিয়ে ১৪ লাখ টাকা বার করবে। আর ২৫ বছর ধরে বাড়ি গাড়ির লোনের বোঝা বয়ে, কোনরকমে যখন সেই বোঝা নামার পথে, তখন আবার নতুন লোন??? বাপ রে!!! বাঁচাও.. #বেড়ানোর_কি_হবে?? এটাও বুঝে গেছি, ওই লিটার ক্লাসের দানবগুলোকে নিয়ে, আমার পছন্দের জায়গায় বেড়াতে যাওয়া শুধু লেজেন্ডদের পক্ষেই সম্ভব, ইহজীবনে অত বড় লেজেন্ড হওয়া আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আর সুপারবাইক কিনে ধাবা রাইড?? ওটাও একটু মুশকিল .. #খারাপ_হলে_কি_করবো?? এখনো পর্যন্ত ছোটখাটো কিছু বাইকের কাজ হলে তো নিজেই করে নি, বা পাড়ার রতনদা দেখে নেয়, সুপারবাইক হলে কি হবে?? আমাদের যা চাকরি, কাশ্মিরের গ্রাম, নাগাল্যান্ড এর পাহাড় আর গুজরাতের রানে, কে করবে সুপারবাইকের কাজ?? অতয়েব?? সব লজিক বলে একদমই কিনো না ভায়া … কিন্তু আমি শালা কিনবোই শিগগিরই (কবে জানি না অবশ্য) #সুপারবাইক সুপারবাইকের প্রেম বলে কথা… জয় হিন্দ
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৬) #নারী (#Woman) ১৯৮৭, ক্লাস নাইনে পড়ি, দক্ষিণ কলিকাতার এক প্রসিদ্ধ ইংরাজি মিডিয়াম স্কুলে। ছেলে মেয়েরা তিন বছর বয়স থেকে একসাথেই পড়তাম, কোনদিন আলাদা করে ভাবার সময় বা প্রয়োজনই হয়নি, যে মেয়েরা আলাদা। খেলাধুলা, পড়াশুনা, মারপিট, খিস্তি-খাস্তা, সবেতেই ছেলে-মেয়ে সবাই একই ছিলাম। খুব একটা হিন্দি সিনেমা দেখা বাচ্চাবেলা থেকেই হয় নি, ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতারেই সময় চলে যেত। এমন সময়, হঠাত এলো #মিস্টার_ইন্ডিয়া… নীল শাড়ী পরে শ্রীদেবী … জীবনটাই কেমন গোলমাল হয়ে গেল.. একজন মহিলা কে দেখে ছোট খোকা মাথাচাড়া দিতে পারে প্রথম জানলাম… মনে হল… আরে.. ছেলে-মেয়ে তো এক নয়.. এদের মধ্যে একটা দারুন দারুন মন টেনে নেওয়া, রক্ত গরম করে দেওয়ার ব্যাপার আছে। শ্রীদেবী আমায় পাকালেন। বোঝালেন, ছেলে-মেয়ে নয়, নারী -পুরুষ .. প্রেম হয়, শরীর হয়।
তিনি নেই.. তাকে আমি চিনি না, এক দুটোই সিনেমা দেখেছি হয়তো, কিন্তু তিনি আমায় প্রথম বুঝিয়েছিলেন… মেয়ে নয়.. #নারী কি। মনটা খারাপ হয়ে গেল.. এত সুন্দর একজন চলে গেলেন (হিংশুটেরা বোটক্স, হাইড্রক্সিল এর গল্প বলছে সব)… কিন্তু আমার প্রথম জানা নারী .. চলে গেলেন। মনটা খারাপ .. কে জানে ওপরবালা কখন বলবে আমাদেরও… #ওঠাও_ঝোলা_চলরে_ভোলা
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৫) #২১_ফেব্রুআরি (21 February) আমরা মোটর সাইকেল চালাই, জ্যাকেট, গ্লাভস, হেল্মেট পরি, মাঝেমধ্যে ভ্রাতৃত্ব সংক্রান্ত র্যালি ইত্যাদিও করি। আর সকলের সাথে মিলেমিশে এক হয়ে যাবার জন্য, cool, damn, respect, fuck, safe, adventure ইত্যাদি শব্দ এন্তার এদিক-ওদিক ছুঁড়ে দি, অন্যদের ক্যাচ ধরার জন্যে। দাড়ি গোঁফ, জ্যাকেট, সিসি, বাইকের এই ম্যাচো দুনিয়ায়.. বাংলাটা বলে ফেলতে হঠাতই যেন একটু লজ্জা পেয়ে যাই। সকল বাইকার গ্যাং এর সামনে, বাংলায় আনন্দ করতে আমাদের দ্বিধা, বাংলায় খিস্তি দিতে আমাদের সংকোচ … এই যদি কেউ ভেবে ফেলে … আমি অশিক্ষিত, আমি uncool !! আমি জানি, “save the girl child”; “green peace”; “cancer awareness”; “global warming” রাইড সারাজীবন হবে, কিন্তু আমরা ভুলে যাব, কালকে এক ঐতিহাসিক দিনের কথা … ২১ ফেব্রুআরি। (ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস আর শোনালাম না, যারা জানতে চাও, গুগল করে নিও) ।
মোটরসাইকেল জগতের এই সবথেকে বড় ভাষা-দ্বিধা আর সত্তা-দ্বন্দ্ব কে ভেঙে গুড়িয়ে দেবার প্রথম প্রচেষ্টা #টায়ারমার্ক; বাংলার থেকে, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মোটো-ভ্রমনের লিটল্ ম্যাগাজিন। আমাদের স্বপ্ন, আমরা বাঙালিরা, বাংলায় ভাববো, বাংলায় বলবো, বাংলায় লিখবো আর বাংলাতেই পড়বো, আমাদের বাইকে ভ্রমনের গল্প আর আমাদের নিজেদের ভাবনা চিন্তা। টায়ারমার্ক এর ছোট্ট সংসার থেকে, সকল মোটরসাইকেল প্রেমিদের ২১ ফেব্রুআরির শুভেচ্ছা এবং ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি.. আমি কি ভুলিতে পারি”
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে করি বাংলায় হাহাকার আমি সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার বাংলাই আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক আমি একবার দেখি, বার বার দেখি, দেখি বাংলার মুখ ।। আমি বাংলায় ভালবাসি আমি বাংলাকে ভালবাসি আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি ।।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৪) #পোঙায়_মোটুল_না_সর্ষেরতেল_ভালো? (Motul_or_MustardOil_for_the_arse?) মহারাষ্ট্রতে কাজে এসে, হঠাত্ করে একটা বিকেল খালি পেয়ে যাওয়া অনেকটা কাকের ভাঙা কয়েতবেল পাওয়ার মত, impossible নয়,কিন্তু বেশ rare। তাই পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মত, রবিবারের বিকেলটা খালি পেয়ে কোনরকমে একটা চেয়ে চিন্তে ঠান্দারবার্ড যোগাড় করে দে ছুট লোনাভালা- খান্ডালা।
মহারাষ্ট্রর সাথে আমার যোগাযোগ বহুদিনের, তাই এখানকার মোটরবাইক আবহাওয়ার সাথে আমি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। বাংলায় যেমন মোটরবাইক প্রেমি দু ধরনের — জ্যাকেট-হাটুবর্ম পরিহিত বাইকার, এবং বিনা হেলমেট চ্যাংড়া বাইকবাজ ; যাদের মধ্যে চ্যাংড়া বাইকবাজরা বিষাক্ত এবং তাদের থেকে বহুদূর থাকাই মঙ্গলজনক। জ্যাকেটধারি বাইকাররা, বাংলায় বেশ সংযমি আর ম্যাচুওর। মহারাষ্ট্রতে কিন্তু ব্যাপারটা উল্টো .. এখানে প্রায় প্রায় সবাই ই জ্যাকেট ধারি, বয়স উনিশ-কুড়ি.. এবং মোটরবাইকের ফানুশবাজি আর দেখানেপনায় অনেক এগিয়ে।
রাস্তায় চা খেতে দাড়িয়ে পড়ে একগুছ অনূর্ধ কুড়ি বুলেটবাজ দের সাথে পরিচয়। দুজন বুলেটবাজ প্রায় আধ ঘণ্টা আমার মাথা খেলো, কেন বুলেটে মোটুল V300 ঢালা উচিৎ, সেই জ্ঞান দিতে। সাধারণত আমি এসব সময় চুপচাপই থাকি, কিন্তু এখানে ত বাপু ঢপের জ্ঞান শুনে মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড় !!! শেষ পর্যন্ত বলেই ফেললাম. .. ভাই একজনের পোঙায় আমার পিস্টনটা ঢোকাতে হলে মোটুল টা ভাল হবে, না সর্ষের তেল ?? তারা দেখলাম হঠাত্ বাইক স্টার্ট করে হাওয়া…
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১৩) #দাদা_ও_প্রেম (#Dada_and_Love) বাচ্চা ছেলেমেয়েরা ভাবে, তারাই একমাত্র প্রেম করছে, আরে ভাই, বাবারও তো বাবা হয়, আমরা তো আর জন্ম থেকেই বুড়ো দাদা-বউদি হয়ে যাইনি; আমরাও বাচ্চাই ছিলাম কখনো। আর তখন তো আর আমরা তোমাদের মত এইরকম লোকদেখানো, ফেসবুকিয় প্রেম করতাম না। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেও, প্রেম ছিল। বাবা মায়েদের আপত্তি ছিল, চারবার বাপ-মাকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া ছিল, নিজেদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া ছিল, মিটমাট, আদর-খুনসুটি ছিল, লুকিয়ে হাতটা ধরে ফেলে বুক ধড়পড় ছিল, প্রথম চুমুর পর তিন দিন কিছু না খাওয়া ছিল, আর বাইকের পেছনে প্রথমবার বসিয়ে “এই পথ যদি না শেষ হয়” গাওয়াও ছিল, হাল্কা হাত কোমরটা যখন জড়িয়ে রেখেছে, তখন গরম নিশ্বাসও ছিল, কিন্তু এই ফেসবুক প্রেমের আদিখ্যেতা ছিল না। প্রেম, প্রেমই ছিল, মানুষ-মানুষী একই ছিল, পুরী ছিল, সমুদ্রও ছিল, নিখাদ সোজা-সাপটা ভালবাসা ছিল, ভাবনাগুলো গভীর আর ব্যাক্তিগত ছিল। সময় বদলাক, কিন্তু বাঙালির সত্যিকারের প্রেমও কি বদলে যাবে? কি বল বাইকার ভাইবোনেরা ??
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১২) #আমার_দাবিটা_কি ?? (#what_do_I_want) সরকারি কাজের সুত্রে সারা ভারতে প্রচুর ঘোরাঘুরির সুযোগ হয়েছে , কিন্তু পশ্চিম বাংলায় এই প্রথম পোস্টিং। আমার মোটরবাইক প্রেমের সুবাদে প্রচুর বন্ধু হয়েছে পশ্চিমবাংলায়, সবাই এক-একজন জলন্ত আগুন, খাটি মাল, কারুর মোটরবাইক ভালবাসায় কোনো ভেজাল নেই। কিন্তু আবার একটা প্রব্লেমও আছে, এখানে সবাই খুব ভাবুক, সেন্টিমেন্টাল, অভিমানী, সোজা কথা সোজা করে বলার অভ্যাসটা এদেশে একটু কম। তাই সবাই আমার সহজ কথাগুলো শুনে একটু অবাক হয়, ভালবাসেও। আসলে আমার মিলিটারি জীবনে তো বাঁকা-বাঁকা কথা বলার চলনই নেই, তাই সোজা কথা, সহজ কথা বলাই আমাদের অভ্যাস। আজকের বিলাপ তাই সোজাসাপটা … আমি কি চাই?? (পাবো কি না কে জানে, কিন্তু, চাইতে, আর সেই চাওয়া কে সত্যি বানাতে কাজ করতেও তো অসুবিধে নেই)
১) আমার নিজের জন্য একটা হেব্বি মোটরবাইক হোক; দামি নয়, কিন্তু সব জায়গায় চলে যাবে এমন।
২) সব বাংলার ছেলেমেয়েরা প্রচুর বাইকে চড়ুক। মোটর সাইকেলে চড়ে সবাই বেড়াক, অনেক দূর দূর।
৩) প্রচুর স্পিডে চালাক সকলে, কিন্তু রাস্তায় নয়, controlled environment য়ে, Track য়ে।
৪) বোকামি আর অসাবধানতা র জন্য কোন বাইকার এবং সাধারণ পথচারী যেন মারা না যায়।
৫) মেয়েবাজি, ড্রাগ, ধর্ম, পলিটিক্স এর গল্প বন্ধ হোক, মোটরবাইক এর গল্পবাজি হোক।
৬) বড় বাইকার, ছোট বাইকার বন্ধ হোক, প্রেম বড় হোক।
৭) বয়স কে ন্যায্য শ্রদ্ধা দেওয়া হোক, কিলোমিটার , এক্সপেরিয়েন্স, আর স্পিড কেও ন্যায্য শ্রদ্ধা দেওয়া হোক, কিন্তু একটা ছোট ভাইয়ের ১০০ সিসি বাইকের সাথে, বেশি পয়সা নেই, কিন্তু ইচ্ছে আছে, তাকেও একদমই ছোট না করা হোক। শ্রদ্ধাই সম্বল।
৮) পয়সা আর সিসির গরম দেখানো বন্ধ হোক।ভালোবাসার বড়াই হোক।
৯) মোটরসাইক্লিং একটা বাংলার Movement হয়ে উঠুক, সবাই বাইকার দেখে যেন ভাবে, “এরকম হতে হবে”, জলন্ত আগুন.. স্বাস্থ্য, ব্যাবহার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি কণ্ঠ – #বাইকার।
১০) মোটরসাইক্লিং ভ্রাতৃত্ব একটা শব্দ নয়, একটা ভাবনা, একটা মনন হয়ে উঠুক।
জয় হিন্দ।
একটা বাচ্চা ছেলে সুইসাইড করলো। মোটরসাইকেল বা চলতি কথায়, একটা বাইক চেয়েছিল বাবার কাছ থেকে।মধ্যবিত্ত বাবা প্রথমে দিতে চায়নি, কিন্তু ছেলের বায়নার কাছে হার মানে বাবা, বলেছিল দেবে কিনে, কিন্তু কয়েকদিন বাদে। ছেলেটির দাবি … না, আজকেই চাই বাইক। বাবা এবং মা দুজনেই বিরক্ত হয়ে ছেলেকে বকাঝকা করে এই অবুঝ ব্যাবহারের জন্য। ছেলেটি অভিমানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এই খবরটির দুইজন প্রধান চরিত্র, ছেলেটি এবং বাইক; তাই আজকের এই বিলাপ। একটা ছেলে মারা গেল,বাবা-মার ছাড়া কার কি এল গেল? আমার তো আর ছেলে নয়!!! কিন্তু ব্যাপারটা মনে হয় ঠিক অতোটাও সহজ নয়। কাল যদি ওটা আমার ছেলে হয়?
#Random_Sampling … আমার ফেসবুকে কম-বেশি আড়াই হাজার বন্ধু (!!!) আছে, শ-দুয়েক আত্মিয়স্বজন, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ছেড়ে, প্রায় সোওয়া দু হাজার বন্ধু মোটরবাইক প্রেমি। তার মধ্যে প্রোফাইল দেখে যা বুঝি, প্রায় এক হাজার বন্ধু তিরিশোর্ধ এবং কর্মরত, নিজেদের এক বা একাধিক মোটরবাইক আছে। প্রায় সওয়া এক হাজার বন্ধু অনুর্ধ চব্বিশ, প্রায় কাররই হয়তো ফিক্সড ইনকাম নেই, বাইক কারর আছে, কারর নেই। যাদের নেই, তারা শিগগির একটা বাইক কিনতে উত্সুক। অর্থাত্, সোজা-সাপটা ভাষায়, তারা বাপের পয়সায় বাইক চালায়, বা চালাতে চায়। কিন্তু কেন চায়? কারণ তারা বাইক এবং বাইকার সম্বন্ধ্যে এক মন গড়া গল্পর দুনিয়ায় থাকে।
#Bike_Perception (ওরকম_মনে_হয়) … আমাদের সমাজে, মোটরবাইক চালক, বা তথাকথিত বাইকারের একটা ইমেজ আছে :- ১) সমাজের পরোয়া করে না ২) মেয়েরা পাত্তা না দিলে, খুব সহজেই বলা যায়, মেয়েরা ঢপের, বাইকই আমার প্রেম। ৩) Bikers are Cool … যখন জ্যাকেট, হাঁটু গার্ড আর গ্লাভস পরে বেরোয়, সব লোকজন আর বিশেষ করে মেয়েরা কিরকম হাঁ করে তাকিয়ে থাকে !!! ৪) বাইকারদের মধ্যে কি bonding !! একে অপরের জন্য প্রাণ দেবে মনে হয়।
#অতয়েব… এই তথাকথিত কুউউল গ্যাং য়ে ঢুকতে হবে, এবং তার জন্যে সবার আগে চাই বাইক। তাই … বাবা, কিনে দাও একখান।
#bike_realities (#সত্যি_টা_কি) ১) সমস্ত মানুষ, বাইকার, কি না বাইকার, সমাজেরই অংশ ; বেশিরভাগ বাইকারদের “আমি সমাজ মানি না” একটা মুখোশ মাত্র। অর্ধেক ছেলেরা বাইক চালাচ্ছে এই আশায়, কি কবে একটা সুন্দর মেয়ে তার পেছনে বসে তাকে ধন্য করবে (এবং ব্যাপারটা ভুল কিছুমাত্র না, ভুল শুধু দেখানো অন্যকিছু টা)।
২) এই বাইকার ক্লাব, বা গ্যাংগুলি চুলোচুলি, হিংসা, ঝগড়া-ঝাঁটি তে বহুলাংশ ভরা (এমন নয় সব, কিন্তু বেশিরভাগই)।
৩) বাইকিং একটি বেশ expensive hobby। প্রথমে তো যে কোন বাইক চলবে, তারপর ইচ্ছা বাড়বে – তখন চাই বেশি cc, বেশি bhp, তারপর চাই সেই বাইককে চালানোর পেট্রল-খরচা, বাইক সারানোর খরচা, মডিফিকেশন খরচা, গিয়ার ইত্যাদির খরচা, ট্র্য়াক ভাড়া করা বা বেড়াতে যাওয়ার খরচা – সবই কি বাবা দেবে??
#তাহলে_কি_করব ?? সোজা সাপটা হিসাব, নিজে চাকরি/ ব্যাবসা যা ইচ্ছে তাইতে ঢুকে নিজের পয়সায় যা ইচ্ছে করো ভাই (অন্ততপক্ষে যতদিন বিয়ে, বাচ্চা না হচ্চে), বাবার ঘাড়ের ওপর বোঝা হয়ে নয়। বাপের পয়সায় যে বাইকবাজি করে, সে নরকের কীটের থেকেও অধম। আর বাবাদেরও একটা কথা বলি, খুব ছোটবেলা থেকেই নিজের বাচ্চাকে সমস্ত কিছু তার জেদ মেনে দিয়ে তাকে খারাপ করবেন না; খোকাকে বুঝতে দিন, কিছু পেতে গেলে কতোটা মেহনত করা দরকার। জীবনে সবকিছু তার ইচ্ছায় চলে না।
এই কথাগুলো আমি কিছু জায়গায় বলার ফলে আমায় বাচ্চাদের থেকে শুনতে হয়েছে… “শালা আমার বাপের থেকে চেয়েছি, তোর বাপের কি বে?” আর কিছু বাপেরা বলেছে “ছেলে বাপের থেকে চাইবে না তো কার থেকে চাইবে?”… এনাদের কে একটাই কথা বলার আছে, ভগবান আপনাদের সুবুদ্ধি দিন প্রার্থনা করি।
আজ এইটুকুই। বাবা মায়ের কর্তব্য ছেলেকে জীবনের জন্য তৈরি করা, বাইকটা জরুরি বা শেষ কথা কখনই নয়।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (১০) #বউ_ও_বাইক (wife_and_motorcycling) বাইকের কথা বললেই … বউ আমায় প্রচণ্ড কেলায় … “এই বুঝি আবার একটা বাইক কিনে ফেললো “… “শালা পয়সার নয়-ছয় করছে বাইক-বাইক করে” .. “এই বাইক হয়েছে আমার সতিন “… ইত্যাদি । বাইক নিয়ে দিন পনেরোর জন্য বেরুবো বললেই মুখ গোমড়া, দু-তিন দিন কথা বন্ধ। একবার একটা KTM কিনবো বলে তিন লাখ টাকা ধার চেয়েছিলাম বউয়ের কাছে, চালকুমড়ো নিয়ে তাড়া করেছিল প্রায় ১০০ মিটার। একটা দামি রাইডিং প্যান্ট কিনে ফেললে কথা শোনায় … “বউএর একটা বালুচরি শাড়ির কথা তো মনেও পড়লো না”। মাঝেমধ্যেই আমার ATM কার্ডটা বাজেয়াপ্ত করে নেয়, একটা হাল্কা মডিফিকেশন করবো, বললেই মুখ ঝামটা। “লাদাখ” শব্দটা শুনলেই মনে হয় ব্লাড-প্রেশার বেড়ে গেছে, মুখ লাল, ফোঁশ ফোঁশ নিঃশ্বাস, চোখে হাল্কা জল।
বউ ছিল কলেজের বন্ধু, আঠারো বছর বয়সে দুজনের দেখা; তারপর থেকে আর অন্য কোন মেয়েদের দিকে তাকানোর দরকার হয় নি। তখন থেকেই সে জানতো অবশ্য… “একটু ছিটিয়াল প্রকৃতির ছেলে এই মালটা , নাহলে বিলেতের ডাক ছেড়ে পাহাড় জংগল বরফে পালায় দুষ্টু লোক মারতে !!! আবার বলে বিয়েও করব।”
সেই বউই আবার দেখি, চুপিচুপি গিয়ে একদিন শ্বেত_আগ্নিকে আনার দুই লাখ টাকা নিজের পয়সার থেকেই জমা করে দিয়েছে শোরুমে। সেই বউই হঠাত বলে ওঠে, “এই বয়সে ফ্যাট-বয় নাহলে আর ঠিক জমছে না”। অন্য আত্মিয়রা যখন বাইক নিয়ে পালাই বলে গালাগাল করছে, তখন বউই দেখি ঝাঁঝিয়ে উঠেছে.. “আমার বর শিবের মতন, ষাঁড়ের পিঠে চেপে শশানে মশানে ঘোরে, তোমাদের মত নয় – খেলে, ঘুমোলে, মারা গেলে”। সেই বউই যখন ট্রিপ ক্যান্সেল বলে মন খারাপ করে বসে আছি, সেই সময় মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলেছে, “হবে, হবে … না মেঘালয় পালাচ্ছে, না রাস্তা পালাচ্ছে”।
প্রেম নিশ্চয় আছে। বউ না থাকলে, আমার মোটরসাইক্লিং হত না। তাই ত বলি… বাচ্চা বাইকার ভাইরা, “Single is fine; as long as Love doesn’t enter your life. Love is all encompassing, Love for a woman, love for family and friends, love for your bike, love for the roads… they all come together and change you.. forvever”. দাদার বিলাপ আজকে এইটুকুই। প্রেমের জয় হোক।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৯) #টায়ারমার্ক (#Tyremark) বাংলায় প্রকাশিত একমাত্র মোটর সাইকেল ভ্রমণের দ্বিমাসিক পত্রিকার সাথে, খুব ছোটভাবে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই গর্বিত এবং খুশি। প্রথম Re-Rising edition বেরোচ্ছে ২৮ জানুয়ারি (#Village_Biker মোটরসাইকেল ক্লাবের অনুষ্ঠানে)। কি করে পত্রিকাটি পাবে সবাই , তা লিখব এক দুদিন পরে। যে বাইকার ভাইরা চায় তাদের মোটর সাইকেলে বেড়ানোর লেখা ও ছবি ছাপা হোক … তারা দয়া করে এই ই-মেল য়ে বাংলায় লেখা ও ছবি পাঠিয়ে দিয়ো তাড়াতাড়ি : sumantobanerjee4@gmail.com
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৮) #আমি_বুঝি_না (#Things_I_Never_Understand) ফেসবুকি মোটরসাইকেল বেড়ুয়াদের কিছু-কিছু ব্যাপার-স্যাপার আমি একদমই বুঝি না, চেষ্টা করি অবশ্য, কিন্তু মাঝে মধ্যে বেশ frustrating হয়ে পড়ে ব্যাপারটা, কিন্তু এটাও বুঝি, বলে লাভ নেই, এখানে সবাই “বড় রাইডার”।
#জায়গার_নাম_বলব_না … একটা ফটো দেব ফেসবুকে, কিন্তু কিছুতেই জায়গাটার নাম বলব না, কি করে যেতে হয়, কোন রাস্তা, কোথায় থাকে, খাবো কোথায় … কিছুতেই বলা চলবে না। যদি অন্যরা চলে যায় সেখানে? … তাহলে তো সেও বড় রাইডার হয়ে যাবে… সেটা চলবে না!!
#অদ্ভুত_ক্যাপশান… ফোটো দেব পাহাড়ের পাশে বাইক দাঁড়িয়ে আছে, ছবির ক্যাপশান … “ছাগলে কেন হাগে”… লে ভাই … বুঝে নে কি বুঝবি!!!
#তোকে_দেয়_কে … এটা লেটেস্ট, কিছু বললেই বড় বাইকাররা একে অপরকে জবাব দেই … “তোকে দেয় কে?” আরে ভাই, আমিও তোরই মতন, চল্লিশজন মহিলা রোজ দিলে কি আর মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতাম?? আমার না হয় বউ বাচ্চা আছে, কেউ তো দিয়েছে, এটা অবশ্য অন্য ব্যাপার… বয়স হচ্ছে… আর কতদিন কেউ দেবে, বা কতদিন আমি নিতে পারব সেটা ভাববার বিষয় অবিশ্যি।
#আমি_বাইকার_আমার_হাত_যথেষ্ট … মাঝে মাঝে বড় বাইকারদের বলতে হয় … “মেয়েরা বিচ, আমার মেয়ে চাই না, আমার বাইক (আর হাত) যথেষ্ট”। আমি বলি, পাগল ছেলে … বাইক-সাইক হতে থাকবে … প্রেমে পড় … নাহলে জীবনটা মরুভূমি হয়ে যাবে। ছেলেরা পাহাড়, তো মেয়েরা ঝরনাধারা।
#পোঁদে_কাঠি … নিজে বেড়াব না,অন্যদের থেকে শিখব না, অন্যকে হিংসা করব, আর একে অপরের পোঁদে কাঠি করব ফেসবুকে। আনন্দ হয় নিশ্চয়, নাহলে এত লোকে করছে কেন?
#লাইভে_এসে_আঁউয়াঁউ… আরে লাইভে এসে যদি কিছু দেখাবি বা বলবি.. একটু ভেবে নে আগে, তারপর বল… তা নয় “আঁউ – আঁউ – আঁয়্যা – উম্মম”…।
#মেয়েদেরকে_অসম্মান … এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না, কিন্তু আমি একটু পাগলাটে টাইপের লোক .. মেয়েদের সোশাল মিডিয়াতে যদি দেখি আমার ফ্রেন্ড লিস্টের কেউ অসম্মান করছে, আমার সাথে দেখা হলেই আমি তাকে জুতো-পেটা করবোই, কেউ বাঁচাতে পারবে না ভাই, খেয়াল রেখ .. তখন ফেসবুক, ইয়ারকি, বাইকার কিচ্ছু মানবো না।
আজ এখানেই শেষ করি, নাহলে আমাকেই সবাই কেলাবে!!!
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৭) #ভালবাসার_খেসারত (#The_Cost_of_Love) আজকে মাথাটা ফেটে যাবে রাগে, কপালটা দপ-দপ করছে, প্রেসারটা মনে হয় বাড়লো। কিন্তু রেগে গিয়ে কাউকে গালাগালি করার সময়, বা সুযোগ তো রোজকার জীবনে নেই, তাই ফেসবুকেই আস্ফালন। দুই মাসের পরিকল্পনা, বাইক তৈরি, পয়সা বাঁচানো, সমস্ত্য ছোটখাটো বেড়ানো বন্ধ রাখা,একদম ভাল ছেলে হয়ে থাকার পরেও, আজকে মেঘালয় মোটরসাইকেল ট্রিপ ক্যান্সেল করতে হল – কাজের জন্য। সরকারি চাকুরে আমরা; মাঝেমধ্যে মনে হয় পালিয়ে যাই শালা, লাথি মেরে, কিন্তু তাও আটকে যাই। আজকের প্রলাপ তাই আমার মোটরসাইকেল প্রেম, আর তার খেসারত নিয়ে। ভাবনাগুলো ব্যাক্তিগত, অনেকের সাথে মিল থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে, কতটা গ্রহণ করবেন, বা না করবেন, সেটা আপনার ব্যাপার।
#মোটরসাইকেল_ও_পরিবার … পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই দামড়া ছেলে, বাইকে টোঁ-টোঁ করে ঘুরবে, সেটা কোন সত্তরোর্ধ বাবা-মায়ের পছন্দ হবার কথা নয়, হয়ও না। বউও হাল ছেড়ে দিয়েছে, আর ঘোষনা করে দিয়েছে, বরটা পাগল, শিবের মতো ষাঁড়ের পিঠে চেপে বনে-বাদাড়ে,শ্মশানে-মশানে ঘোরে, বলে লাভ নাই। কিন্তু তার মনের ইচ্ছা বুঝি, একটু ঘরের দিকে নজর দিক, বাচ্চা পড়াক, পরিবার নিয়ে ইউরোপ বেড়াতে যাক। বাচ্চারাও বড় হচ্ছে, এটাও বুঝি, তারা ভাবে, বাবা হঠাত্ করে পনেরো দিনের জন্য লাদাখ যাবে বলে তাদের ফেলে পালিয়ে গেল কেন? বাড়িতে ঠিক কেউই পছন্দ করে না, এই মোটরসাইকেল নিয়ে পাগলামি। কিন্তু তাও, #বাবা_মা_বউ_বাচ্চা_ভালবাসি।
#চাকরি_ও_দায়বদ্ধতা … উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের তিন জেনারাশন সরকারি চাকুরে, সেই বাড়ির ছেলে সরকারি অফিসার-ক্যাডারে ঢুকবেই, তার সাথে সে মনেপ্রাণে যুক্ত। আর এটাতো শুধু চাকুরি নয়, এটাতো সেবা, এডভেঞ্চার, সব মেলানো এক জিবনাদর্শ। তাইতো এর নাম Services। তাই এই চাকরির জন্য ব্যাক্তিগত স্বাধিনতা, নি্:সন্দেহে বিসর্জন দিতে হয়, রাগে ফেটে পড়ি, কিন্তু অসহায় লাগে। জিবনের দ্বন্দ্ব, Profession -Commitment – Passion – Freedom. সরকারি চাকরি, সবসময়ই চায়, নিজের শত-প্রতিশত দায়বদ্ধতা। সবসময় দিতে চাই না, কিন্তু দিতে হয়। ইজ্জৎ, শহরত, ভালবাসা, সবই এই সরকারি চাকরিই দিয়েছে, তাকে ঠেলবো, বা ফেলবো কি করে? আর ফেললে, বউ বাচ্চা নিয়ে খাব কি?? তাও, #সরকারি_চাকরি_ভালবাসি।
#বন্ধুদের_ঠাট্টাতামাসা … সরকারি চাকুরে এবং প্রাণের বন্ধুদের একটা জীবনের বাঁধা গত্ আছে – পঁচিশে চাকরি, আঠাশে বিয়ে, তিরিশে বাচ্চা, চল্লিশে বাড়ি-গাড়ি, পঁয়তাল্লিশ বাত্সরিক গোয়া, নৈনিতাল, ইউরোপ ভ্রমণ, ষাটে রিটায়ারমেন্ট। এর মধ্যে হঠাত্ মোটরসাইকেল কোথা থেকে চলে এল ভায়া? এই বাঁধা গতে গান না গাইলে, একটু সমবয়সী আর সিনিয়র দের ঠাট্টা-ইয়ার্কি শুনতে তো হবেই। “বাইকে চড়ে লাদাখ যাওয়া? বউ এখনও ডিভোর্স দেয়নি ভায়া? কবে দেবে?”.. ইত্যাদি। অবশ্য এটাও জানি, গোঁফ চুমরে সোজাসুজি চোখের দিকে তাকালে তাদেরও গলা কেঁপেই যায়। “ঝড়” হওয়া, এবং তাতে বিশ্বাস রাখা, সকলের কর্ম নয়, তারাও জানে, আমিও জানি। তবুও #বন্ধুদের_ভালবাসি।
#সময়ে_বেড়ানোর_বিড়ম্বনা … মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যাবার তিনটি বিড়ম্বনা সবসময়ই থাকে, ইচ্ছা, পয়সা এবং সময়। ইচ্ছা সব সময়ই ছিল এবং আছে, বয়সের সাথে পয়সাটাও হয়ত আছে, নেই শুধু সময় ও স্বাধিনতা। চাকুরি, পরিবার, দায়িত্ব, সব মিলিয়ে আজকের জীবনের সবথেকে বড় চাহিদা – সময়। অমুক মাসে পাস খুলবে, বরফ গলবে, রাস্তা খুলবে, মোটরসাইকেল চলবে… কিন্তু কাজও তো তখনি পড়বে। তাও #বেড়াতে_ভালবাসি
#আমার_মোটরসাইকেল_হিংসা… ফেসবুক, ট্বিটার, ইন্সটাগ্রাম, ব্লগ ইত্যাদিতে, মোটরসাইকেল সংক্রান্ত খবরাখবর রাখার এক বদভ্যাস আছে চিরদিনই, তাই কিছু মানুষ কে খুবই হিংসা করি :- ১) দেখি কিছু লোক সারা বছর ধরে বেড়িয়েই চলেছে মোটরবাইক নিয়ে, ভাবি, চলছে কোথা থেকে গাড়িটা? ইনকামটা কোথা থেকে হচ্ছে? নাকি, নিস্চয় কিছু পুঁজি আছে হাতে। যদি আমারো থাকতো, পয়সা আর সময়, কি ভালই না হত!! ২) কেউ কেউ দেখি ২৫ লাখ টাকার মোটরবাইক কিনে, একবছরে ১০০০ কিমি চালিয়ে, বাইকটা ২০ লাখ টাকায় বেচতে চাইছে আর বলছে, “To Upgrade”. এরা কারা? কোথায় থাকে? কি করে? হিংসা তো পাইই। কিন্তু তাও #মোটরসাইকেল_ভালবাসি।
জীবন চলবে, মোটরসাইকেলও চলবে, আমরা থাকব বা থাকব না। মানুষের এই দুই চাকার প্রেম, শেষ হবার নয়। চরাতি চরৈবেতি….
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৬) #বাইকারের_দু_আঙুল (#Give_Respect_To_Get_Respect) আমার মত রাম্ সহযোগে গরু-শুয়োর খেগো লোকেদের পেটে অল্পসল্প সিংগল্ মল্ট পড়লেই বদচিন্তারা ভুস-ভুস করে বেরোতে থাকে। তাই, আজকের গ্লেন্ বংশজ ফিদিচ্-বিলিতি আর রেশমি কাবাব, আরেক্ চিন্তা টেনে বের করে আনল মোটা মগজ থেকে।
মাঝেমাঝে যখন রবিবার NH2 দিয়ে কলকাতার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে যেতে হয়, প্রচুর জ্যাকেট এবং হাঁটু-বর্ম পরিহিত গুড়াপ-গামি খোকাবাবু বাইকারদের সাথে দেখা এবং আলাপ-পরিচয় হয়। অধিকাংশ খোকাবাবুরা আমায় দেখামাত্র দুই আঙুল তুলে একটা V ইংগিত করে। বেশ কয়েকবার চা-সিগারেট ধংস করার সময় খোকাবাবু বাইকারদের জিজ্ঞাসা করেছি : – “ওটা আঙুল তুলে কি দেখালি রে? ” – “কেন কাকু, রেস্পেক্ট দেখালাম !! ” – “তা হঠাত্ আমার প্রতি এত শ্রদ্ধা কেন? ” – “কেন কাকু আপনি হিমালয় (!!) চালান!!” -“তো, তাতে কি ?” – “কেন কাকু, দেখালাম যে সব বাইকই এক !! ” – “তো তাহলে ওই KB125 টাকে আঙুল দেখালি না কেন? ” “ওতেতো এক দাদা, বউদিকে নিয়ে সব্জি কিনতে গেল!! ” “আর ওই হিরো-হন্ডা টাকে আঙুল দেখালি না কেন ? ” “ওটাতে তো কাকু মাছওয়ালা মাছ বিক্রি করছে !!”
ছোকরার কথায় লজিক তো আছে, আর আমার মাথা ততক্ষণে ঘেঁটে চচ্চড়ি পাকিয়ে গেছে। বেচারি খোকাবাবু, বাইকার মহলে পাত্তা পেতে, “Respect” ব্যাপারটি তোতা পাখির মত বুঝে গেছে, কিন্তু চিন্তা-ভাবনা গুলো পুরোই ঘেঁটে গেছে আমারই মতন।
তাই আজকের বিলাপের কয়েকটা ভাবনা:-
১) এই আঙুল তোলা V মার্কা Respect কি? কাকে? কেন?
২) মোটরসাইকেল-চালক, বাইকার এবং রাইডার, এই বহুল প্রচারিত শব্দগুলির অর্থ কি?? কার জন্য এই V ওয়ালা Respect? এই প্রসংগে বিলিতি আর দিশি লজিক কি আমাদের দেশে প্রযোয্য ?
৩) সব মোটরবাইক কি এক ??
৪) কখন এই আঙুল তোলার দরকার বা কখন নয়?
জবাবগুলো ভেবে লেখার চেষ্টা করছি। এই জবাবগুলো কুড়ি-বছর মোটরবাইক নিয়ে ঘোরার পর, অনেক সমমনা লোকেদের সাথে আলোচনার পর, নিজেরই মস্তিস্ক প্রসুত। সঠিক কি না, জানি না, মানবেন কি না, আপনার ব্যাপার।
Motorcycle-Culture টা আসলে বিলিতি। আমেরিকান সমাজে মোটরসাইকেল ব্যাপারটা ঠিক আমাদের মতন নয়। ওখানে একটা মোটরগাড়ি কিনে ফেলা, একটি মোটরসাইকেল কিনে ফেলার থেকে অনেক সহজ এবং কাম্য। ওখানে, মোটরসাইকেল একটু অন্যরকম লোকেই কেনে। সেখানে মোটরসাইকেল আছে, এটা একটা অন্যরকম পরিচিতি, এবং তা একজনের ব্যাক্তিত্যর প্রতিক। আমেরিকায়, মোটরসাইকেল কালচারের সাথে, ক্লাব, গ্যাং, rivalry, outlaw এবং আর কিছু ব্যাপার জড়িত, যেটি আমাদের দেশে একদমই নয়। আমরা তৃতীয়-বিশ্বের নাগরিক, আমাদের দেশে মোটরসাইকেল সবথেকে সস্তার যাতায়াতের একটি উপায়। তাই আমাদের দেশে সবথেকে গরিবও চেষ্টা করে, কোনরকমভাবে একটা মোটরসাইকেল কিনে ফেলার। হরেদরে, তাতে কাজেকর্মে পয়সা কিছু বাঁঁচবেই। সবজি-বিক্রিওয়ালা, দুধওয়ালা, ফেরিওয়ালা, মাছওয়ালা, খবরের কাগজওয়ালা, কাজের মাসি, ছিপি-তিনোর মস্তান-বাহিনি, মোটরসাইকেলের ওপর দিয়েই চলছে। কাজেই আমেরিকান Respect এখানে ধোপে টিকবে না। এখানকার নিয়মগুলো একটু অন্য হয়ে যাবেই। এই প্রসংগেই শেষ করে নেওয়া উচিত, ওই অদ্ভুত শব্দ গুলোর মানে …
#মোটরসাইকেলচালক … সমস্ত্য মানুষ, যারা মোটর চালিত 2-wheeler (bike, scooter, scooty ইত্যাদি) চালান, তারা মোটরসাইকেলচালক।
#বাইকার … যারা কর্মসংস্থান এর জন্য মোটরসাইকেল চালান না, অথবা কোনো daily-chores এর জন্য মোটরসাইকেল চালান না, অর্থাত্ শুধুমাত্র নিজের আনন্দর জন্য তেল পুড়িয়ে মোটরসাইকেল চালান, তিনি বাইকার। (ভ্যালেন্টিনো রসি একজন professional বাইকার). সঠিক শব্দ টা… মোবাইকার, বা মোটরবাইকার।
#রাইডার … যিনি কোন জন্তু-জানোয়ার এর সওয়ারি করেন, ঘোড়া, ষাঁড়, গাধা, উট চড়েন (যথা, আলেক্সান্ডার, শিবাজি, রানা-প্রতাপ, ভগবান শিব, কলকাতা মাউন্টেড পুলিশ) , তারা রাইডার। এছাড়া অবশ্য জ্যামিতিতে Theorem-Rider (সম্পাদ্য -উপপাদ্য) আছেই। Confusion টা মনে হয় English Verb… “Ride” থেকে এসেছে.. Man rides Horse (Horse-Rider) Man rides Motorcycle (Not Motorcycle Rider, but Motorcyclist).
#Respect (as a concept). 1904 সালে, হার্লে-ডেভিডসন এর দুই মালিক, আর্থার ডেভিডসন এবং উইল্লিয়াম হার্লে একে অপরকে ক্রস করার সময় ওই V সাইন দেখান (নিশ্চয় ইশারা করছিলেন – সলিড্ পয়সা পিটেছি গুরু!!) কিন্তু আসেপাশের লোকজন দেখে ভাবে, ওটাই বাইকারদের ইশারা। আমাদের দেশে, দেখানর থেকে বেশি জরুরি, একটা জিনিস মাথায় রাখা, “রাস্তাটা শালা কারোর বাপের নয়” ট্রাকওয়ালা, টোটোওয়ালা, মাছওয়ালা, রাস্তায় সবার সমান অধিকার, নিজে রাস্তার আইন মেনে চল।
#সব_বাইক_এক?? এইটা সবথেকে অদ্ভুত concept এবং একটু বোঝার ব্যাপার আছে। Basic concept টা হচ্ছে “Size or cost of the ride does not matter, as long as you ride to feel freedom, oneness with nature and the great outdoor”. এখানেই মাছওয়ালা, দুধওয়ালা আর বাজার করা দাদা বউদি এসে প্রব্লেমটা করে দিচ্ছে … বাইক তো তারা চালাচ্ছে, কিন্তু ফ্রিডম, প্রকৃতি এগুলো ঠিক .. খাচ্ছে না। যদিওবা ওই “বাইকার” category র মধ্যে (অর্থাৎ আনন্দ-বাজদের মধ্যে) .. বুলেট, হারলে, বুসা, বাজাজ সবাই একইরকম শ্রদ্ধ্বার পাত্র।
#তাহলে_শালা_Vটা_দেখাব_কাকে?? যদি বুঝতে পারি একজন নিজের মনের আনন্দর জন্য মোটরসাইকেল চালাচ্ছে, তাহলে তাকে দেখাব। (অতয়েব, খোকাবাবুরা যখন জ্যাকেট এবং হাঁটু-বর্ম পরিহিত মোটরসাইকেল চালক দেখে V দেখায়, সেটা ঠিকই করে। এটা অবশ্য অন্য ব্যাপার যে বিনা জ্যাকেট এবং হাঁটু-বর্মও, অনেক আনন্দবাজ বাইকার হয়।)
#V_দেখিয়ে_কি_বোঝাতে_চাইছি?? বোঝাতে চাইছি, যে তুমি সাইজের পরোয়া না করে, পয়সার পরোয়া না করে, রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছ তোমার মোটরসাইকেল নিয়ে, আনন্দ নিতে স্বাধিনতার, প্রকৃতির। তাই মহারাজা … তোমাকে সেলাম।
#কখন_দেখাব_না ১) আমেরিকানদের মত বাঁ হাত নিচে করে V দেখিয়ে লাভ নেই। ওদের রাস্তা ডান-গামি, আমাদের রাস্তা বাম-গামি। ২) Throttle থেকে ডান হাত কখনোই তোলা উচিত নয়। বাঁ হাত কাধের সমান নিয়ে গিয়ে V দেখালে, আমাদের রাস্তায় চোখে পড়বে । ৩) ইওরোপে V দেখানর থেকে “Bikers Nod” (ঘাড় হাল্কা হিলিয়ে বাঁ দিকের মিরর এর দিকে নেওয়া) বেশি প্রচলিত, সেটাও করা যেতে পারে। ৪) পাহাড়ের বাঁকে, চৌমাথার মোড়ে, সিগ্নাল য়ে, রাত্রিবেলায় V দেখায় না। ৫) V দেখানর জন্য পাগলামি করার দরকার নেই, পারলে ভাল, নাহলে কোন অসুবিধে নেই, সাবধানে চালাও ভাই।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৫) #পথিক_ও_ফেসবুক (#Traveller_and_Social_Media) [খিল্লি করে নয়, একটু সিরিয়াস লেখার চেষ্টা করছি। লেখাটি Ben Groundwater এর একটি প্রবন্ধর দ্বারা অনুপ্রাণিত। এই পুরো চিন্তায়, বন্ধুত্ব ব্যাপারটা আলোচ্য বক্তব্য নয়। লেখাটি আমারই চিন্তা, প্রলাপও বলা চলে। পড়ে কাউকে কিছু করতে হবে না, যে যেমন, সে সেরকমই ভালো]
মাঝেসাঝে মনে হয়, এই ফোনটাকে ছু্ঁড়ে ফেলে দি, বেড়ানোর আনন্দটা, এই ফোনটা একাই মাটি করতে ওস্তাদ। বেড়াতে বেড়াতে হঠাত্ খেয়াল, এইরে, ফেসবুকে পোস্টটা দিতে ভুলে গেলাম না তো? এই পোস্টটা তো দিতেই হবে … প্রচুর লাইক আর কমেন্ট পড়বে ….
আমি এবং আমার মতই অনেক মোটরসাইকেলচালক পথিকই, বেড়াতে যান এবং ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রাম এ ফটো, ভিডিও, লেখা ইত্যাদি পোস্ট্ করেন। আজকের ভাবনা, কেন করেন? বেড়ানোর সাথে সোশাল মিডিয়ার কি সম্বন্ধ ??
সোশাল মিডিয়াতে বেড়ানোর গপ্পো বলার কিছু ভাল কারণ আছে, কিছু বাচ্চা-বাচ্চা কারনও আছে। যদি বাচ্চা-বাচ্চা কারণ গুলো আগে লিস্ট করতে যাই, তাহলে সেই লিস্টটা এইরকম হবে হয়ত :-
১) আমি সমস্ত জায়গা মেরে এসেছি। দেখো, আর সবাই মিলে আমাকে বাহবা দাও। ২) সবাই মিলে বলো, তুমি তো বিরাট বড় রাইডার হে ভায়া। ৩) সবাই হাঁ হয়ে যাক, আর বলুক, পারেও বটে ছেলেটা।
ভালো কারণের লিস্টে আসার আগে কয়েকটা কথা বলে নেওয়া ভালো। ওপরের কারণগুলোকে বলে fame-trappings of a traveller … সে পথ আর popularityর এর দ্বন্দের শিকার। পথ আর তাকে আনন্দ দেয় না, সে তার বেড়ানোর মধ্যেও স্বিকৃতি খুঁজছে। স্বিকৃতি বা পরিচিতি না পেলে, সে বেড়ানোটা বন্ধ করে দেবে। কিন্তু এই কারনটা সত্যি তার জন্য লাগু কি নয়, তা খোঁজা শুধুমাত্র নিজেরই পক্ষে সম্ভব, নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করলেই এর সঠিক জবাব পাওয়া যাবে… আমি কি খুজছি?
এবার আমার প্রব্লেমটা বলি, এটাও বেশ অদ্ভুত, কিন্তু সত্যি কারণ। আমার একটি নিজের ব্লগ আছে এবং আমি কয়েকটি জিনিস খুবই পছন্দ করি, লোককথা, ইতিহাস এবং creative writing। তাই এই তিনটে উপাদান মিলিয়ে আমি সোশাল মিডিয়াতে লেখার চেষ্টা করি। খুবই আনন্দ পাই যখন বেশি লোকজন লেখাটা পড়ে। এটাকে বলে creative-trappings of a traveller। তার দেখার চোখটা অন্যরকম হয়ে গেছে – দেখে কি করে নিজের মনটা আনন্দে ভরে উঠবে, সেটা তার লক্ষ্য নয়, বরঞ্চ তার মাথায় ঘুরছে কি ভাবে লিখলে আর ফটো তুললে আরো বেশি লোকে পড়বে আর দেখবে !! অর্থাৎ, সে আর সেই মুহুর্তে নেই, সে রাস্তা আর creativityর দ্বন্দের শিকার। পথিকের জন্য একদমই কাজের কথা নয়।
পথ একটু অদ্ভুত জায়গা, সেখানে অন্যকে সাহায্য করা যেতে পারে, অন্যের পাশে থাকা যেতে পারে … কিন্তু কিছুতেই অন্যকে আনন্দ পাইয়ে দেওয়া যেতে পারে না, বা অন্যের আনন্দ টা নিজে পেয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।এই আনন্দটা খুবই স্বার্থপর, এটা নিজেকেই নিজের জন্যই খুঁজতে হবে… যে এই স্বার্থপর আনন্দর খোঁজ পেয়েছে, সে আর কোন trappings এ কোনদিনও পড়বে না। সেই স্বার্থক পথিক।
তাহলেও, পথিকের কাছে সোশাল মিডিয়ার কিছু জায়গাও আছে। সেগুলি কি?? অর্থাৎ, ভালো কারণগুলি কি?
১) অন্যদের জায়গার খোঁজ দেওয়া। ২) কি করে সেখানে যাওয়া যায়, কি কি দেখা যায় তার খবর দেওয়া। ৩) নিজের পরেরবারের গন্তব্য জায়গা সম্বন্ধ্যে খোঁজখবর নেওয়া এবং ব্যাবস্থা (logistics arrange) করা। ৪) সমমনা পথিকদের খবরাখবর রাখা। ৫) পথে পরিচিত বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখা।
অর্থাৎ, আবার শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথায়, পঙ্কে পদ্ম ফুলের মত থাকতে হবে, কাদাও লাগবে না, সুগন্ধও দেবে। অথবা, সেই হংসের মত, জল মেশানো দুধের থেকে, দুধটা ঠিক চোঁ চোঁ করে মেরে দেবে। Travellers Trappings এ পড়বে না, আর সোশাল মিডিয়ার সঠিক ব্যাবহার করবে। আর মাঝে সাঝে আওড়াতে হবে :-
“কোথাকার তুই কেরে, নাম নেই ধাম নেই ?’ জবাব কি দেবে ছাই, আছে কিছু বল্বার ? কাঁচুমাচু ব’সে তাই, মনে শুধু তোল্পাড়— ‘নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু, মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু ৷ মাছ ব্যাং গাছপাতা জলমাটি ঢেউ নই, নই জুতা, নই ছাতা, আমি তবে কেউ নই !’
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (4) #লম্বা_মোটরসাইকেল_চালানো (#LDR) একবার এক ভক্ত শ্রীশ্রীরামকৃষ্ন্ পরমহংসদেবকে জিজ্ঞাসা করেন, “ঠাকুর, আপনি ওই মাতাল গিরিশ ঘোষকে এত ভালবাসেন কেন? মদ খায়, বেশ্যাদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে?”। ঠাকুর খচে গিয়ে বলেন, “শালা, গিরিশ যা জিনিস, তুই সাতজন্ম নিয়েও তা হতে পারবি না। ওর শালা শুঁড়িখানা আর বেশ্যাবাড়িতেও মাথায় ইশ্বর-চিন্তা”। গল্পটা প্রাসঙ্গিক, কেন; তাতে এখুনি আসছি।
যারা মোটর সাইকেল চড়ে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাদের একদিনে বেশ অনেকটা দূরত্ব বাইক চালাতে হয়। আমার মত সাধারণ মোটরসাইকেল চালকেরা দিনে (সকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৫-৬ টা অব্ধি) ঠিকঠাক রাস্তা পেলে ৫০০-৬০০ কি.মি. দূরত্ব মাপতে পারে। তার বেশি চালাতে গেলে, আমার পশ্চাতদেশ বিদ্রোহ করে, পিঠ আকড়ে যায়, মনোসংযোগ হারিয়ে ফেলি এবং দুর্ঘটনার ভয় পাই। সেই জন্য ৫৫০ টা কে আমি আমার লিমিট বানিয়ে নিয়েছি। ওটাতেই আমি খুশি, আর তাই আমি সাধারণ মোটরসাইকেল চালক।
কিন্তু, সবাই সাধারণ হয় না। আমি বেশ কয়েকজনকে (রোহিত, সোহেল, জলহস্তী, পোগো, বাবা এবং আরো বেশ কয়েকজন) খুবই ভালভাবে চিনি যারা দিনে আরামসে ৮০০-৯০০ কি.মি. টেনে দিতে পারে। (একজন তো আবার আমার খুবই ঘনিষ্ঠ, ১৩০ কে জি ওজনের জলহস্তি, আমারই স্বেত-অগ্নি কে নিয়ে ৯ ঘণ্টায় ৮৫০ কি.মি. টেনেছিল)। ওরা সাধারণ নয়, ওরা পাগলাটে মোটরসাইকেল চালক, মোটরসাইকেলের গিরিশ ঘোষ। ওরা দিন-রাত বাইক নিয়ে স্বপ্ন দেখে, ওদের মত হতে গেলে আমাকে সাতজন্ম নিতে হবে। হিংসা পাই ঠিকই, কিন্তু তাই বলে গালাগালি করব? একদমই নয়। শ্রদ্ধা করি, কিন্তু একদমই অনুকরণ করার চেষ্টা করি না, আমি সেয়ানা, কিন্তু ছিটিয়াল নই।
আমার মত সাধারণ মোটর সাইকেল চালকদের জন্য উপদেশ (জ্ঞান ভাবলে, মানতে হবে না, আপনার এবং আমার কারোরই কিছু ছেঁড়া যাবেনা তাতে ), দয়া করে গিরিশ ঘোষ হতে যাবেন না, প্রচন্ড বিপদে পড়বেন তাহলে। নিজের শরির, সামর্থ্য যে না বোঝে, সে রাস্তার জন্য উপযুক্ত নয়। তারাই রাস্তায় জীবন হারায়, যারা নিজেদের সামর্থ্যর বাইরে চলে গিয়ে অন্যদের কিছু করে দেখাতে চায়। মোটর সাইকেল চড়ে বেড়ানো, অন্যদের জন্য নয়, শুধু মাত্র নিজের জন্য (এই ব্যাপারটা নিয়ে লেখা পরের দিন)। ৩৫০ -৫৫০ কি.মি. সাধারণ মোটরবাইক চালক কোন রিস্ক ছাড়া করতে পারে। দয়া করে নিজের মা, বাপ, বউ, বাচ্চার কথা ভেবে, কি.মি. মাপবেন, ভাইসকল।
এই প্রসংগে আর একটা জিনিস বলে শেয করতে চাই। অনেকেই LDR certification বা iron butt certification এর জন্য পাগল। আমার মত সাধারণ চালকের অবশ্য বোঝার বাইরে, একটি ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি র ইন্টার-স্টেট হাইওয়ের ওপর ভিত্তি করে বানানো certification এর আমাদের ভারতে কি relevance? না আমাদের রাস্তা এক, না আমাদের ট্রাফিক এক। মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ খেলতে খেলতে, বার্সিলোনার গোলপোস্টে গোল দেওয়া যায় নাকি? (অবশ্য বড় ফুটবলওয়ালাদের ব্যাপার আলাদা, ওনাদের জন্য আমার মত সাধারনের লেখা নয়)। ভাল থাকুন, প্রচুর মোটর সাইকেলে বেড়ান, সাবধানে কিন্তু, জীবন মুল্যবান। চারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে (এক্সিডেন্ট,গুলি, বিস্ফোরক) ফেরত আসার ফলস্বরুপ, এই জ্ঞানটা দেবার অধিকার হয়ত আমার আছে।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (৩) #স্যার_কি_রাইডার?? (#Am_I_a_Rider ??) [মোটরসাইকেল নিয়ে একটি ধারাবাহিক লেখার ইচ্ছা এক ডাক্তার-সাহেবের আর এক পথিক বন্ধুবরের লেখা পড়ে জন্ম নেয়, যদিওবা আমার লেখা সাহিত্যগুণগত ভাবে ওনাঁদের কানাকড়িও নয়; না আছে ভাব, না আছে ভাষা, কিন্তু কিছু বক্তব্য আছে। এমন নয় যে সেটা পড়ে নিয়ে কাউকে কিছু করতে হবে, জ্ঞান কেউই পছন্দ করে না, স্বাভাবিক্ ভাবেই।]
মাঝেমাঝে আমি যখন বেরিয়ে পড়ি বাংলার পথেঘাটে, হেতমপুর, বলাগড় বা সুখোরিয়া খুজতে, কিছু কিছু বাচ্চা বাইকারদের সাথে আলাপ পরিচয় ঘটে। তাদের প্রথম প্রশ্ন – “স্যার, আপনি কি রাইড করেন?” প্রথমে ভেবেছিলাম জিজ্ঞেস করছে – কি মোটর সাইকেল চালাই ? কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম ওরা জিজ্ঞেস করছে বেসিকালি “আপনি কি রাইডার?”। কি মুশকিল এই প্রশ্নবাণের জবাব দেওয়া !!!
আমাদের বাচ্চাবেলায় ময়দানে ফুটবল ছিল জমজমাট, পিকে-চূনী দেখার সৌভাগ্য হয়নি, বড় প্লেয়ার বলতে আমরা বুঝতাম বিদেশ-মানস, হাবিব-খাবাজি, সুব্রত-মনা, শ্যামথাপা-সুরজিত, মজিদ – জামশিদ আর পরে কৃশানু -বিকাশ, সুদিপ-বিশ্বজিতদের। কি তাদের র্যালা!! রাস্তাঘাটে দেখতে পেলে পেন্নাম ঠুকতাম আমরা !! আজকের দিনে ময়দানে ফুটবলের রমরমাও নেই, আমাদের বড় প্লেয়াররাও নেই, তাদের জায়গা করে নিয়েছে বড় রাইডাররা, র্যালায় বেশি বই কম নয়। তাই বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করি, এই বড় রাইডাররা কারা?? হতে পারি বা না পারি, চেষ্টা করতে ক্ষতি কি? তাদের জবাব শুনে একটা ম্যাটরিক্স আমি মনে মনে বানিয়েছি, বড় রাইডার হতে গেলে কি কি করতে হবে :-
১) কম করে ৩ লাখো বাইক চাই। যত বেশি ই-এম-আই, তত বড় বাইকার। ১০ লাখ ক্রস করতে পারলে তো লেজেন্ড বাইকার হওয়া যায়। ২) সিসি তে বললে চলবে না, ডিসপ্লেসমেন্টটা লিটার এ বলতে হবে, হাফ লিটার, এক লিটার ইত্যাদি। সাথে একটা বি-এইচ-পি আর টর্ক এর যা-ইচ্ছা হিসাব আউড়ে দিতে হবে। গিয়ার-রেশিও বা পাওয়ার-টু-ওয়েট-রেশিও শব্দগুলো বললে তো সে ভগবান-বাইকার। ৩) বাইকে স্টিকার, আর জ্যাকেটে বেশ কিছু ব্যাজ লাগাতে হবে। (ভাগ্গিস ন্যাজ লাগাতে বলে নি) ৪) লাদাখ, গোরুদংমার অন্তত একবার মেরে আসতে হবেই, পদ্মসম্ভব রিনপোচে কি বা কেন পোঁছে, না জানলে কোন ব্যাপার না। ৫) ফেসবুকে কিছু পাহাড় ঝরনা আর রাস্তায় বাইকের চাকা-তোলা (সামনের-পেছনের যেটা ইচ্ছে, চলবে) ফটো দিতে হবে, নামের পাশে সুজুকি বা হন্ডা বা আর-ই লিখতে পারলে তো সবথেকে ভাল (যথা – শ্যামল সুজুকি, বিমল হন্ডা, গোপাল আর-ই) ৬) মাঝেমাঝে গরিবদের বস্ত্রদান করতে হবে, বেটি-বাচাও বলে ফটো ফেসবুকে দিতে হবে। ৭) সোশাল মিডিয়াতে, অন্য মোটরসাইকেল চালকদের একটু খিস্তী-খেউড় করতে হবে। ৮) ব্রো, ফাক ম্যান, সেফটি-গিয়ার, এল-ডি-আর, ও-টি-আর, রেস্পেক্ট , ইত্যাদি শব্দ কথার ফাঁকেফাঁকে ছুড়ে দিতে হবে। ৯) সগর্বে বলতে হবে, কিলোমিটার আর গন্তব্যটাই প্রধান, ওটাই বড়ত্যের মাপকাঠি। ১০) আর লেটেস্ট … বলতে হবে সব বাইকই এক বা ভাল (লে হালুয়া, শালা টাইগার আর বুলেট এক !! এটা বলতে যেন লজ্জা লাগে, সরকারি চাকুরে আমি, আমার আউকাত বুলেট বা পাল্সার, হাজার ইচ্ছা হলেও মোটা-ছেলে কিনতে পারব না, ব্যাংকও ধার দেবে না )
এসবের মাঝে, রাস্তাটা আমাদের ছোটবেলার ফুটবলের মতোই, হারিয়ে গেছে। আমরা সবাই মিলে ছুটে যাব সিক্কিম, অরুণাচল, হিমাচল, কে- টু -কে, মারতে। ভুলেও খুঁজব না জমিদারবাড়িতে রঘূ ডাকাতের ত্রিশুল পোঁতার গপ্প, সাওতাল মেয়েটা কোলে বাচ্চা নিয়ে কেন মাংরি থেকে এলিজাবেথ হয়ে যায়, নাগা সুন্দরি কেমন করে ব্যাংগালোরের ডাক্তারি আর নাগাল্যান্ডের লাই-হারুয়া নাচ একসাথে সামলায়। আমরা রাইডার, আমাদের কি?? এক বাচ্চা রাইডার একবার আমায় আলটিটুড আর বরফের গল্প শোনাচ্ছিল, অনেকখন পরে বলতেই হল, ওর থেকে বেশ কিছুটা উচুতে আমি টোটাল ছয় বছর ছিলাম। ব্যারেলে হেগে, বরফের ওপর দিয়ে পাকিস্তানের দিকে গড়িয়ে দিতে হত ব্যারেলটা, হাহাহা।
বুঝতে পারি, বড় রাইডার হওয়ার চান্স কম, কিন্তু তাও, আশা রাখি… আপনাদের আশির্বাদ থাকলে,শিগগিরি #মোটরসাইকেলওয়ালা_পথিক থেকে #বড়_রাইডার হতে পারব।
#দাদার_মোটরসাইকেল_বিলাপ (২) #জ্যাকেট_প্রসঙ্গ (#Ode_to_the_riding_jacket) পুজোর আগে এক বাচ্চা বাইকার এর ফেসবুক পোস্ট দেখলাম “এবার পুজোয় রাইডিং জ্যাকেট নিলাম বাবার থেকে, লোকে বুঝুক, আমরা বাইকার, ঝিংকু মামনিরা হাঁ করে তাকাক “। আমার নিজের ভাইপোও উঠতি তরুন-তুরকি বাইকার, সে আমায় বোঝায়, “কাকু, আমার জ্যাকেট পরে বাইক চালাতে দারুন লাগে”। আমার প্রশ্ন “সে কি রে? আমার তো সং সেজে থাকার মত লাগে “। ভাইপোর সপ্রতিভ উত্তর, “আরে কাকু, সমস্ত লোকজন আর মেয়েগুলো হাঁ করে তাকিয়ে থাকে আর রাইডিং জ্যাকেট, বাইক দেখে “। ঠিক্ই অবসারভেশন ছোকরার, সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকে, আর ঠিক যে কারণে তার দারুণ লাগে, ঠিক সেই কারণেই আমার শালা ওই কাগ্ভুশুনডী জ্যাকেট সহ্য হয় না – আমার মনে হয়, সকলে ভাবে, এই মালটা কোথা থেকে উদয় হল ? হরিয়ানার অদ্য পাড়াগাঁ বা গুজরাতের গ্রাম্য লোকালয়ে জ্যাকেট দেখেই সবাই ভ্রু কোঁচকায়। প্রাণ খুলে গপ্পো তারা কখনোই করবেনা, যদি তারা ওই জ্যাকেট দেখে। একবার স্পিতি থেকে ফিরছি (লাদাখ বা স্পিতি বললে প্রচুর ইজ্জত পাওয়া যায়, গংগারামপুর বা নারাজোলে বললে ইজ্জত নেই বাংলার বাইকার মহলে), চা খেতে দাড়িয়েছি এক যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের কফি-শপে (বিলিতি ধাবা আরকি), দিনটা ছিল রবিবার, দিল্লীর ছোকরা বাইকারদের মোটরসাইকেল চড়ে বেরেকফাসটো খাবার দিন। আমায় বিধস্ত অবস্থায় সবুজ গেঞ্জি পরে কফি তে চুমুক দিতে দেখে তাদের পাঞ্জাবি ভাষায় প্রশ্ন “আপনি বাইকার?” আমি ভাবি “খেয়েছে, শালারা বুঝলো কি করে? নিশ্চয় গ্লাভসটা দেখে ফেলেছে ” বল্লাম- আমতা আমতা করে – “একটু-আধটু চেষ্টা করি”। তাদের আবার প্রশ্ন “জ্যাকেট কোথায় আপনার?” আসলে মাইনাস ৫ থেকে ৩২ ডিগ্রিতে নেমে, জ্যাকেটটা তিতিবিরক্ত হয়ে খুলে বাইকে গুঁজে দিয়েছিলাম, কাচুমাচু মুখে তাকিয়ে আছি, একজন অন্যজনকে বলল “মালটা ঢপের বাইকার, জ্যাকেটই নেই ” বলে উঠে গেল (এটা অবশ্য অন্য ব্যাপার, যে বাইরে সুসজ্জিত আর্মি লেখা শ্বেত -অগ্নি কে দেখে তারা আবার ফেরত এসে হাঁস্তে হাস্তে বলল – “স্যার, আপ্ হামে চুতিয়া বানায়া”। অর্থাৎ – তথাকথিত বাইকার সমুদায় এর কাছে জ্যাকেট এক আইডেনটিটি কার্ড় এর মত, পোরলে বাইকার, নাহলে বাল। জ্যাকেট এর অবশ্য গুণ আছে, চোট আঘাতের থেকে বাঁচাতে পারে, কিন্তু জীবন বাঁচাতে পারা মুশকিল বলেই আমার মনে হয় (জীবন বাঁচায় শুধুমাত্র সাবধানতা) – যাইহোক, জ্যাকেট এর প্রয়োজনিয়তা আছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু আমার পোরতে জঘন্য লাগে। অতয়েব? বউ কে বলেছিলাম, “দেখ না যদি কিছু করতে পার” বউ দেখলাম এক সুন্দর উপায় করেছে, আমার শান্তিনিকেতনি কাঁথা বাউল জ্যাকেটটা দরজি-মাস্টার কে দিয়ে কাগভুশুনডির ওপর সেলাই করে দিয়েছে। জমেছে ব্যাপারটা – দেখতেও সুন্দর, বাঁচোয়াও থাকলো, আর আমার লজ্জাও বাঁচলো। তাই আমি আজ #বাউল_রাইডার।
#দাদার_মোটরবাইক_বিলাপ (1) (প্রলাপ ও বলা চলে) মোটরবাইক সংক্রান্ত কিছু চিন্তা ভাবনা যখনি লিখে ফেলতে চাই, তখনি মাথায় আসে এক ভাই হিপ্পুর (আরনি ঘোষ) কথা – “তোমাকে মোটরবাইকিং এর বাবা হতে কে বলেছে? নিজে যা করার কর, যে যা করছে, করতে দাও। তোমার কি এল গেল তাতে? ” – হক কথা, এর থেকে সত্যি আর কি হতে পারে? কিন্তু প্রব্লেমটা বয়সের, এই বয়সে মাথার মধ্যের ভাবনা গুলো বার না করে দিতে পারলে তারা গুড়গুড় করে পেটে গিয়ে বাতকর্ম হয়ে বেরতে চায়, তাই এই প্রলাপ। এমন নয় যে পড়ে ফেলে কেউ কিছু করুক, সত্যি বলতে, যার যা করার, সে তাই করবে, গ্যান এর দরকার কাররই নেই। #Brotherhood. এই মোটরবাইক ভ্রাতৃত্ব এক অদ্ভুত জন্তু। খায়, না মাথায় মাখে? একে অপরের গলা জড়াজড়ি করে বসে থাকতে হবে নাকি? না কি একে অপরের তোশামুদি করতে হবে? বিলাতি মদকে দিশি বোতলে ভরা বেশ কঠিন ব্যাপার। অচেনা বাইকার দেখলে “কি ভাই, সব ঠিক-ঠাক তো?” বলাও মনে হয় এই ভ্রাতৃত্ব হবে। অথবা চেনা বাইক-বন্ধু পেলে একসাথে একটু চপ-মুড়ি-চা খেয়ে পয়সাটা দিয়ে দেওয়াটাও কম ভ্রাতৃত্ব নয়। হয়ত শক্ত করে বলতে গেলে – “ঊদার হও, স্বার্থপর নয়” রাস্তাতে কাউকে বিপদে দেখলে দাড়িয়ে পড়, হাওয়া হয়ে যেও না। #Record_Breaking. সবথেকে উচু পাস, সবথেকে আগে যাওয়া, একমাত্র মানুষ, সবথেকে বেশি সময় বাইক চালানো – সবথেকে বেশি স্পিডি – ভালো জিনিস – নাহলে লোকে করে কেন? কিন্তু একটাই বক্তব্য, সাবধানে করো। আদ্ভেঞ্চার সহজ নয়, কিন্তু জীবনের থেকেও জরুরী নয়। আমরা বুঢঢা মানুষ – আমাদের সময় মোটরবাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করাটা ছিল একটা নিজের মধ্যে বুদ হোয়ে যাওয়া। সময়, দিন পাল্টাচ্ছে, need-for-speed বাড়ছে, কিন্তু সেই পুরনো ভালবাসাটা নতুন প্রজন্মর মধ্যে দেখি ধিরে ধিরে হারিয়ে যেতে বসেছে, যেখানে শুধুই ঢুক ঢুক করা বাইক আর রাস্তাই যথেষ্ট ছিল। পুরনো প্রেম ফেরত চাই নতুন বাইকার ভাইদের কাছে। #Destination_Addiction. সবাই কোথাও পউছতে চায়, কোনো পাহাড়, বা নদী বা ঝরনা র ধারে, নয়ই বা কেন? কিন্তু অই যে বলে – পউছে সবাই বুঝতে পারে, গন্তব্যটা অর্থহীন, রাস্তাটাই সত্যি। তাই চলার আগেই মনে রাখা ভালো, গন্তব্যস্থান এ কিছুই নেই, মজাটা রাস্তাতেই। দাড়াও পথিকবর – তিষ্ঠ খনকাল।
অনেক হল প্রলাপ, আজকে এখানেই ইতি। পরে আবার পাগল করব সকল কে।
Darun Dada …aro bikes related write-up cha…. First time I have seen something like this from a bong hardcore travel blog……..